বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হজ কারিগরি দল গঠন

  •    
  • ১৯ মে, ২০২২ ১১:২৬

কারিগরি দলে সিস্টেম এনালিস্ট, প্রোগ্রামার, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকরা রয়েছেন। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক আলোচনায় বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে সাত সদস্যের দলটি ৩১ মে থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করবে। ৮ সদস্যের দলটি দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

এ বছর হজ কর্মসূচি সুচারুভাবে পালন করতে সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিস ও দেশটির জেদ্দা-মক্কা-মদিনায় দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সহযোগিতার জন্য ১৫ সদস্যের হজ কারিগরি দল গঠন করেছে সরকার।

সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে সাত সদস্যের দলটি ৩১ মে থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করবে। ৮ সদস্যের দলটি দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

কারিগরি দলে সিস্টেম এনালিস্ট, প্রোগ্রামার, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকরা রয়েছেন।

হজ কারিগরি দলের সদস্যরা বিমানের ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে সৌদি আরব যাবেন এবং বাংলাদেশে ফিরবেন এবং ওই সময়ে তাদের চাকরিকাল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বলে গণ্য হবে।

তারা সৌদি আরবে গিয়ে জেদ্দায় বাংলাদেশ হজ অফিসের কাউন্সিলরের (হজ) কাছে যোগদানপত্র জমা দিবেন এবং বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করবেন।

হজ কারিগরি দলের কোনো সদস্য তার দায়িত্ব পালনকালে কোনোভাবেই স্বামী/স্ত্রী/সন্তান/আত্মীয়কে সঙ্গে নিতে ও রাখতে পারবেন না। এ সফর সরকারি সফর হিসেবে গণ্য হবে এবং বিদেশে অবস্থানকালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রায় নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে যথারীতি বেতন ও ভাতাদি পাবেন। তবে ওই দলের কোনো সদস্যই সর্বোচ্চ ৪২ দিনের বেশি দৈনিক ভাতা পাবেন।

হজ কারিগরি দলের সদস্যরা হজ প্রশাসনিক দলের দলনেতা বা মৌসুমি হজ অফিসারদের নির্দেশনা মতে ‌দায়িত্ব পালন করবেন। এ দলের সদস্যদের শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ প্রযোজ্য হবে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ অসদাচরণের কারণে এসব আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছর সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে জাতীয়, নির্বাহীসহ দুটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ২৭ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর মধ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধানকে।

২৪ সদস্যের এই কমিটির অন্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।

সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে এই কমিটি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সময় সভা আহ্বান করতে পারবে। সভাপতি কমিটির সব সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তবে প্রয়োজনে তার থেকে মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন।

এ ছাড়া ৩১ সদস্যবিশিষ্ট হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে। আর মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধানকে করা হয়েছে সদস্য সচিব।

এ বিভাগের আরো খবর