বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাইব্রিড কাঁচামরিচ বাজারে আসায় কমেছে দাম

  • সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি   
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪১

বগুড়া সারিয়াকান্দির মরিচের খ্যাতি বাংলাদেশ জুড়ে রয়েছে। এখানে হাইব্রিড জাতের মরিচের হারভেস্টিং শুরু হয়েছে। বীর অঞ্চলের পাশাপাশি চরাঞ্চলের কাঁচামরিচ বাজারে আসতে শুরু করায় বাজারে মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টির জন্য আগাম কাঁচামরিচ বাজারে উঠতে দেরি হলেও, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে মরিচগাছগুলোতে মরিচ ধরতে শুরু করেছে। আগাম কাঁচামরিচ বাজারজাত করে বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

গত কয়েকদিন আগেও বগুড়া সারিয়াকান্দির বাজারে ৩০০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারের জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসছে চরাঞ্চলের উৎপাদিত হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচ। মরিচগুলো বাজারে উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার চরাঞ্চলজুড়ে এখন বিভিন্ন জাতের সবুজ মরিচগাছ শোভা পাচ্ছে। এ বছর বন্যা না হওয়ায় কৃষকরা চরাঞ্চলের জমিতে আগামভাবে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচ জমিতে আবাদ করেছেন। শুরুতে বৈরী আবহাওয়ায় মরিচগাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচগাছগুলো তরতর করে বেড়ে উঠেছে। বেশিরভাগ মরিচ খেতে মরিচ ধরেছে এবং তা পরিপক্ব হতে শুরু করেছে। যা কৃষকরা সবেমাত্র বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। তাই বাজারে কাঁচামরিচের দামও কমতে শুরু করেছে। সারিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে সেখানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েকদিন আগেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়েছে। সদর ইউনিয়নের চরবাটিয়ার কৃষক মিঠু মিয়া গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে তিনি তার ১০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচের চারা রোপণ করেছিলেন। গত কয়েকদিন আগে তিনি তার জমির মরিচের প্রথম তোলা দিয়েছেন। প্রথম তোলায় তিনি ৫ মণ মরিচ পেয়েছেন। দু-একদিনের মধ্যেই তিনি দ্বিতীয় তোলা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। তিনি গত বছরও হাইব্রিড আগাম জাতের মরিচের চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

কৃষক মিঠু মিয়া বলেন, প্রথম একেবারেই কম মরিচ হয় গাছে। তার পরের তোলা থেকে প্রচুর পরিমাণে মরিচ জমি থেকে উত্তোলন করা যায়। এ বছর বন্যা না হওয়ায় আগামভাবে মরিচ উৎপাদন করতে পেরেছেন। যা বাজারে বিক্রি করে বেশ ভালো দাম পাচ্ছেন। তাদের চরের মরিচ বাজারে উঠতে শুরু করায় বাজারে মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুরুতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মরিচগাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের চাষিরা হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছেন। মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় দাম একটু কম হলেও সন্তুষ্ট চাষিরা।

সারিয়াকান্দি কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর এ উপজেলায় সর্বমোট ৩২০০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এ বছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৩১০ হেক্টর। যা ২২৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১,৬০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের আবাদ হয়েছে এবং ৬৭০ হেক্টর জমিতে দেশি উফশী জাতের মরিচ চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ উত্তোলন শুরু হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, যমুনা এবং বাঙালি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত সারিয়াকান্দির মাটি বেলে-দোঁআশ। তাই এ মাটি প্রাচীনকাল থেকেই মরিচ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে মরিচ উৎপন্ন হয়। বগুড়া সারিয়াকান্দির মরিচের খ্যাতি বাংলাদেশ জুড়ে রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই কৃষকরা আগাম জাতের কাঁচামরিচ উত্তোলন এবং তা বাজারজাত করতে শুরু করেছেন এবং ভালো দামে বিক্রি করছেন। সারিয়াকান্দির মরিচ বাজারে উঠতে শুরু করায় মরিচের বাজার স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর