বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজেদের স্বার্থেই এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ২৩:০৯

সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে আমাদের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। জাতিসংঘ স্বীকার করেছে যে আমাদের অর্জন ভালো। এ জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে আমাদের আরেকটি লক্ষ্য আছে- পৃথিবীর অন্যান্য জাতির সঙ্গে সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।’

জাতিসংঘের দেয়া লক্ষ্য পূরণই শুধু নয়, দেশের স্বার্থেই আমাদেরকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বুধবার ‘সেকেন্ড ন্যাশনাল কনফারেন্স এসডিজিস ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ ২০২২’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে এসডিজি অর্জনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের বিষয় উঠে এসেছে।

এম এ মান্নান বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে আমাদের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। জাতিসংঘ স্বীকার করেছে যে আমাদের অর্জন ভালো। এ জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারও পেয়েছেন। এই পুরস্কার আমাদের সবার। তবে আমাদের আরেকটি লক্ষ্য আছে- পৃথিবীর অন্যান্য জাতির সঙ্গে সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এমডিজি অর্জন সফলভাবে শেষ হওয়ার পর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গৃহীত হয়েছে। এক সময় আমাদের নানা যন্ত্রণা ছিল- নিম্ন আয়ের যন্ত্রণা, খেতে না পাওয়ার যন্ত্রণা, সুপেয় পানি না পাওয়ার যন্ত্রণা। সব যন্ত্রণা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে শেখ হাসিনা কাজ করছেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সব সূচকে বাংলাদেশ ভালো করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা লক্ষ্য অর্জন করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা, শিশু মৃত্যু রোধ, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ নানা কাজে ভালো করেছি। সরকার ২০৩০ সালের আগেই এসডিজির সব লক্ষ্য অর্জন করবে।’

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জোয়েনা আজিজ, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খান মো. নূরুল আমীন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ছয় বছরে বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, ধরিত্রী রক্ষা ও শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে বড় অর্জন করেছে।

সম্মেলনে তিন দিনে এসডিজি নিয়ে নয়টি সমান্তরাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সেশনে ৪৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও/আইএনজিও, সিএসও, একাডেমিয়া এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজক সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) অংশগ্রহণকারীদের মতামত থেকে সারসংক্ষেপ তুলে ধরে। জিইডি জানায়, তিন দিনে এসডিজি অর্জনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের বিষয় উঠে এসেছে। এর মধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় স্তরে যথাসময়ে মানসম্পন্ন ডাটা পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এসজিডির ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর লক্ষ্য বিষয়ক ডাটার অপর্যাপ্ততাই সবচেয়ে বেশি।

এসডিজিতে অর্থায়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে অতিরিক্ত সম্পদ আহরণও একটি বিশাল কাজ। কারণ বাংলাদেশের কর/জিডিপি অনুপাত এখনও বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশের মধ্যে একটি।

বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য উদ্ভাবনী এবং টেকসই অর্থায়নের মডেল অন্বেষণ করতে হবে। বিশেষ করে সবুজ প্রকল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে।

ডিজিটাল দেশ গড়ার জন্য স্মার্ট টেকনোলজি, গবেষণা ও উদ্ভাবনে আরও বেশি অর্থ ও সময় বিনিয়োগ করতে হবে।

মৌলিক পরিষেবা সরবরাহের উন্নতি, বিশেষ করে জনস্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতের উন্নতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য এ দুই খাতের মান উন্নয়নই প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত। কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নেও নজর দিতে হবে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে কটেজ, মাইক্রো ও স্মল এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসই) খাতে সুযোগ বাড়ানো, শহরে দারিদ্র্য নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বৈষম্য কমাতে হবে। এসজিজির ১৬ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে সুশাসনের ওপর আবারও জোর দিতে হবে।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সরকার এবং সরকারের বাইরে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যেও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর