বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রার্থী ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর হামলা, ইউপি নির্বাচন স্থগিত

  •    
  • ১৭ মে, ২০২২ ২১:৪৪

উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস বলেন, ‘নেয়ামুল মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসলে কিছু দুষ্কৃতকারী তাকে মারধর করে। আমাকে কিল-ঘুষি দিয়েছে। তারা নেয়ামুলের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ঘটনার সময় কালকিনি থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তার ভূমিকা রহস্যজনক ছিল।’

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে নির্বাচন অফিসে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনকে মারধর করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই হামলার ঘটনার জেরে পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের ওই ভোট রাতে স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নেয়ামুল আকন অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্দেশে এই হামলা হয়েছে।

আগামী ১৫ জুন উপজেলার এনায়েতনগর ও পূর্ব এনায়েতনগরসহ দুটি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

নির্বাচন কমিশনে দেয়া লিখিত অভিযোগে নেয়ামুল জানান, তিনি স্ত্রী ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিকেলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে কালকিনির নির্বাচন অফিসে যান। সে সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী দলিল উদ্দিন তালুকদারের কর্মী-সমর্থকরা তাকে বাধা দেয়। মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে হামলা চালায়।

তাদের বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাসকেও।

দীপক বলেন, ‘নেয়ামুল মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসলে কিছু দুষ্কৃতকারী তাকে মারধর করে। আমাকে কিল-ঘুষি দিয়েছে। তারা নেয়ামুলের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ঘটনার সময় কালকিনি থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তার ভূমিকা রহস্যজনক ছিল। পরে বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লিখিতভাবে জানালে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।’

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলিল উদ্দিন বলেন, ‘আমি মনোনয়পত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত না। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা আমার জানা নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। এতে আমার কিছু যায় আসে না। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যে রটাচ্ছে।’

পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার অভিযোগের বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘আমি ও তার বাহিনী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলাম। কিছু দুর্বৃত্ত সে সময় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তখন আমি নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী নেয়ামুল আকনকে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে যাই।

‘তার মনোনয়নপত্র দুষ্কৃতকারীরা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানতে পারি। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যে তথ্য দেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর