একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় মৌলভীবাজারের আব্দুল আজিজ হাবলুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারমান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করে দেয়।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল মামলাটি সিএভি (রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) রাখে ট্রাইব্যুনাল।
আব্দুল আজিজ ছাড়া বাকি দুই আসামি হলেন আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মতিন। এর মধ্যে আব্দুল মতিন পলাতক।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।
পরে সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। পরে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। মামলাটি রায়ের জন্য তালিকায় এলে আগামী ১৯ মে বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য দিন ঠিক করে দেয় আদালত।’
তিনি বলেন, ‘এ আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগে শুনানি হয়েছে। আমরা সবগুলো অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে যুক্তি দিয়েছি। ১৯৭১ সালে আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মতিন দুই ভাই মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে তারা রাজাকারে নাম লেখান।
‘এর স্বপক্ষে আমরা প্রমাণ জমা দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের মামলাও রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা তাদের অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রসিকিউশনের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং আমার মক্কেলেরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডারসহ আতাউল গনি ওসমানির দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট আছে। সুতরাং এ মামলায় আমরা খালাস পাবো এমনটিই প্রত্যাশা করছি।
২০১৮ সালের ১৫ মে এ মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর করোনা কারণে দীর্ঘদিন ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ বন্ধ ছিল।