আট মাস আগে পুকুরে পাঁচ মণ পোনা ছাড়েন বাবুল মন্ডল। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বিক্রির আশা করছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিদিন মতো সোমবার সকালে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখেন পুকুরের অধিকাংশ মাছ মরে ভেসে আছে। দুপুরের মধ্যে মরে যায় সব মাছ।
মাছের মালিক ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামের বাবুলের সন্দেহ, প্রতিবেশী ছমির মোল্লা ও তার লোকজন পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছগুলো নিধন করেছেন। তবে বাবুলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছমির মোল্লা।
ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে পুকুরে মাছ চাষ করেছি। ৮ মাস আগে পুকুরে বিভিন্ন জাতের পাঁচ মণ মাছের পোনা ছেড়েছি। আশা করছিলাম কিছু দিনের মধ্যে মাছ বিক্রি করব। কিন্তু সোমবার সকালে খাবার দিতে গিয়ে দেখি মাছগুলো ভেসে আছে। দুপুরের মধ্যে বাকি সব মাছ মরে ভসে ওঠে। এতে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী ছমির মোল্লার সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছমির চার দিন আগে আমার পুকুরের মাছ মেরে ফেলার হুমকি দেন। রোববার রাতে বাড়িতে তারা মিটিংও করেছে। আমাদের পুরো সন্দেহ ছমির মোল্লা ও তার লোকজন আমার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে ছমির মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই কাজ করিনি। আমরা করলাম না কি ওরা করল না কি তৃতীয় পক্ষ, আপনারা তদন্ত করে দেখেন। তবে আমরা এই কাজ করিনি।’
হরিশংকরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু আলম লালু বলেন, ‘পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মারা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। মানুষের সঙ্গে বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে মাছ নিধন করা খুবই জঘন্যতম কাজ। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যব্যস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’