পারিবারিক কলেহের জেরে যশোর সদর উপজেলায় নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজের ছেলেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ফতেপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপাড়া গ্রামে রোববার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
১৬ বছরের রুহুল আমিনকে প্রথমে ইলেকট্রিক শক ও পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে স্বীকার করেন বাবা নুরুল ইসলাম।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ফাঁসি চাই’।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম।
নুরুল ইসলামের বরাতে ওসি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে নুরুল ইসলাম ছেলে রুহুল আমিনকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার দিন রুহুল নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় নুরুল ইসলাম প্রথমে ছেলের বাঁ পায়ে বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচিয়ে ইলেকট্রিক শক দেন।
এতে তার মৃত্যু না হওয়ায় পরে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে আধাঘণ্টা ধরে তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করেন। খবর পয়ে পুলিশ নুরুল ইসলামকে আটক করে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জমি বিক্রি করে ৪১ লাখ টাকা সংসারের পেছনে খরচ করেছি। এখন পরিশ্রম করতে পারি না। স্ত্রী ও ছেলে মিলে আমাকে অমানসিক নির্যাতন করত। ছেলেকে হত্যা না করে কোনো উপায় ছিল না।’
ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত ছাড়া বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।’