নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে এক স্কুল শিক্ষক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষকের নাম মেহেরুন্নেছা নেলী। তিনি কেন্দুয়া উপজেলা সদরের আরামবাগ এলাকার আব্দুল আজিজের স্ত্রী এবং একই উপজেলার জয়কা সাতাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি মীর মাহবুবুর রহমান জানান, বৃষ্টি হওয়ায় তার দুই মেয়ে আগেরদিন স্কুল থেকে কিছুটা দেরি করে বাসায় ফেরে। এ কারণে নেলী প্রচণ্ড রেগে যান। এ নিয়ে রাত ১১টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি মেয়েদের মারতে উদ্যত হন। তখন ছোট মেয়ে ও তার বাবা বাসার এক ঘরে এবং বড় মেয়ে আরেক ঘরে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়।
এতে নেলী আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে ওই দুই কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকে দেন। পরে অন্য আরেকটি ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বৈদ্যুতিক পাখায় ঝুলে ‘আত্মহত্যা’ করেন। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে বলেও জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, ‘‘নেলী ছোটবেলা থেকেই খুব জেদী স্বভাবের বলে শুনেছি। মেয়েদের ওপর রাগ করে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। এ ছাড়া আর কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। সুরতহালেও তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’’
কেউ অভিযোগ না করায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, নেলী শিক্ষকতার পাশাপাশি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একজন সমাজসেবিকা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি।