নোয়াখালী সদর, পৌরসভা ও দুই কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটির পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে মাইজদী শহরে জুতামিছিল শেষে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হন।
এ সময় বিক্ষুব্ধরা নতুন কমিটিগুলো বাতিল এবং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনানের পদত্যাগ দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান ছাত্রলীগের চারটি শাখার কমিটি অনুমোদন দেন।
এর মধ্যে আগামী এক বছরের জন্য নোয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রলীগ ও নোয়াখালী পৌরসভা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি এবং তিন মাসের জন্য সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তব্য দেন পদপ্রত্যাশী ফজলে রাব্বি রাহাত, হোসেন আল রুহিন, মো. জনি।
তারা সদ্য ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করে আবারও কমিটি দেয়ার দাবি জানান।
নতুন কমিটির মধ্যে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে মোহাম্মদ রিশাদকে আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন রনি। নোয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত আহমেদ অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক আমিন উল্যাহ ফাহাদ।
নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হয়েছেন রাহুল দে আর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় আলী আজগরকে।
মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।