সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ সময়ে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে পুলিশের করা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাশিদা সাইদা খানম।
এ সময় মামলায় অভিযুক্ত আট আসামিকে আদালতে তোলা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে সেটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। কারণ উচ্চ আদালত এ ঘটনায় করা দুটি মামলা একই আদালতে বিচার করার আদেশ দেয়।
আইনজীবী রাশিদা জানান, এখন দুই মামলারই একসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। তবে সাক্ষ্যগ্রহণ কবে শুরু হবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক আদেশ দেননি বিচারক।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ৮ জনকে আসামি করে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আসামিরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার সাইফুর রহমান, হবিগঞ্জের সদর উপজেলার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের তারেকুল ইসলাম তারেক, জকিগঞ্জের আটগ্রামের অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের রবিউল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলার লামা দলইকান্দির মাহফুজুর রহমান মাসুম, সিলেট নগরীর গোলাপবাগ আবাসিক এলাকার আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নটেশ্বর গ্রামের মিজবাউল ইসলাম রাজন।গ্রেপ্তার এই ৮ আসামির সবাই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। দুই মামলায় ৫১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।