শরীয়তপুরের জাজিরায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর ও এর প্রতিবাদ করায় শাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের চৌকিদারকান্দি গ্ৰামে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাবেদা খাতুনের বাড়ি সেনেরচর ইউনিয়নের বয়াতিকান্দি গ্ৰামে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মণ্ডল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাবেদার স্বামী বাচ্চু দেওয়ান জানান, চার বছর আগে তার মেয়ে লিমা আক্তারের সঙ্গে চৌকিদারকান্দি গ্ৰামের পারভেজ খালাসির বিয়ে হয়। মেয়ের বিয়ের সময় তিনি ১ লাখ টাকা যৌতুক ও স্বর্ণালঙ্কার দেন।
কিছু দিন পরই বাবার বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য পারভেজ লিমাকে চাপ দিতে থাকেন। লিমা এতে রাজি না হলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে নির্যাতন করত। মঙ্গলবার সকালে যৌতুক নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে পারভেজ লিমাকে মারধর শুরু করেন।
সে সময় মেয়ের বাড়িতে থাকা জাবেদা এর প্রতিবাদ করলে পারভেজ তাকে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর করেন। স্বজনরা জাবেদাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লিমা বলেন, ‘এক মাস হলো আমার ছেলে হয়েছে। আমার ছেলেকে দেখতে মা সকালে আমাদের বাড়িতে আসে। মায়ের সামনেই আমাকে টাকার জন্য মারপিট করলে বাধা দিতে গিয়ে তিনিই লাশ হলেন। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
ওসি মিন্টু মণ্ডল জানান, যৌতুকের জন্য লিমাকে মারধর ও তার মাকে হত্যার অভিযোগ পেয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে পারভেজ ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখনও মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’