বগুড়ায় কোটি টাকা প্রতারণার ১০ মামলায় ১৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল রেজাউল করিমের। সাজা এড়াতে বিদেশে পালিয়ে যান তিনি।
পরে দেশে ফিরে আত্মগোপন করেন। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। ১০ বছর পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রেজাউল। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৫০ বছর বয়সী রেজাউল করিমের বাড়ি বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকায়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের এসআই জাকির আল আহসান। তিনিই অভিযান পরিচালনা করে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেন।
এসআই জাকির জানান, গ্রেপ্তার রেজাউল গ্যাস ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ ও কাস্টিং ঢালাই কারখানার ব্যবসা করতেন। তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে অনেক মুনাফা পাওয়া যাবে- এমন লোভ দেখিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
এরপর সুযোগ বুঝে ২০১২ সালে রেজাউল মালয়েশিয়া পালিয়ে যান। সেখানে দুই বছর থাকার পর তিনি আবারও দেশে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে ভুক্তভোগীদের করা রেজাউলের নামে প্রতারণার ১০টি মামলায় মোট ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেয় বগুড়া জেলা আদালত। এরপর থেকে রেজাউল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পালিয়ে বেড়ান। সেখানে ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘রেজাউলকে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়।’