গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে টিকাকেন্দ্রে এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মমিন প্রামানিক নামে এক উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রাম থেকে মমিনকে আটক করা হয়।
আটক মমিনের বাড়ি উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে মহেশপুর গ্রামের মৃত ফজল উদ্দিন মাস্টারের বাড়িতে স্থাপিত বয়সন্ধিকালীন টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছিল। কেন্দ্রটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মমিন প্রামানিক দায়িত্বে ছিলেন।
এ সময় দশম শ্রেণির এক ছাত্রী টিকা নিতে রুমের ভেতরে গেলে মমিন তাকে নানা কুপ্রস্তাবসহ যৌন নিপীড়ন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি মমিনকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসেন।
উপস্থিত লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মমিনকে আটকের চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারেনি। পরে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় অভিযান দিয়ে মহেষপুর গ্রাম থেকে মমিনকে আটক করে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহীনুল ইসলাম মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মমিনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’