সোনালী ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার অ্যাসিসট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গুদামজাত পাটের বিপরীতে ব্যাংক ঋণের ১২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে তাকে জেলে পাঠান খুলনা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন।
এর আগে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান।
তিনি জানান, সোনালী ব্যাংক থেকে সিসি প্লেজ ও সিসি হাইপো খাতে ২০১০ সালে দফায় দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ নেয় মেসার্স সোনালী জুট মিল।
কিন্তু এর বিপরীতে মালামাল ক্রয় না করে ওই টাকা আসামিরা যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন, যা বর্তমানে সুদাসলে ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকা হয়েছে।
এ ঘটনায় দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি খুলনার খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম এমদাদুল হোসেন (বুলবুল), সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহা, ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার অ্যাসিসট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এবং জুট মিলস, হিমায়িত মৎস্য ও বিবিধ ঋণ বিভাগের ইনচার্জ শেখ তৈয়াবুর রহমান ও ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সমীর কুমার দেবনাথ।
আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, ‘এ মামলার আসামি মেসার্স সোনালী জুট মিলের চেয়ারম্যান এমদাদুল হোসেন বুলবুল করোনায় মারা গেছেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।’