ঈদে উত্তরাঞ্চলগামী যানের জন্য সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের নলকা সেতুর এক লেন খুলে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও সাসেক-২।
বাম পাশের ওই লেন দিয়ে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন কেবল যেতে পারবে। উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো পুরোনো সেতুর ওপর দিয়ে চলবে।
সাসেক-২ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে তারা সঠিক সময়ে তাদের গন্তব্যে ফিরতে পারেন।
‘ইতোমধ্যে পাঁচ দিন আগেই চান্দাইকোনা সেতুটি প্রাথমিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে। আর আজ নলকা সেতুও খুলে দেয়া হলো। আশা করছি এই দুই সেতুর ওপর যানবাহন চলাচল করার কারণে আর যানজট হবে না।’
সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত সড়কে প্রতি বছরই ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা সড়কের এই অংশে যানজটে আটকা পড়ে থাকেন।
শ্যামলী এক্সপ্রেসের চালক শহীদ আলম বলেন, ‘আমার মনে হয় এই ঈদে কিছুটা হলেও যানজট কম থাকবে। কারণ নলকা সেতু ও চান্দাইকোনা সেতুর কাজ শেষ না হলেও দুটি সেতুর এক লেন করে খুলে দেয়া হয়েছে।’
ঢাকাগামী জেরিন ট্রাভেলস বাসের যাত্রী কামরুল হাসান বলেন, ‘ঈদ আসলেই যানজট থাকে। তবে এ বছর একটু কম থাকবে মনে হচ্ছে। কেননা মহাসড়কের সংস্কারকাজ কিছুটা ঠিক হয়েছে। সড়কে কাজ যেমন তেমন, ঈদের ছুটির আগে নলকা সেতু ও চান্দাইকোনা সেতু খুলে দেয়া হয়েছে, তাই যানজট কমতে পারে।’
যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি কমাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ৭০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা যানজট মুক্ত করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছি। সড়কে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি মোবাইল টিমও কাজ করবে। আজ নলকা সেতুর এক লেন খুলে দেয়ায় নির্বিঘ্নে যান চলাচল করতে পারবে। যানজট থাকবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।’