কয়েক দিন পর থেকেই শুরু হবে ঈদ উপলক্ষে পুরোদমে মানুষের বাড়ি ফেরা। চাপ বাড়বে ফেরিঘাটগুলোতে। এতে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা করছে মানুষ।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও পুলিশ মনে করছে, ফেরিগুলো ঠিকমতো চললে যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।
ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও ভোগান্তিহীন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ কমাতে পাটুরিয়ার পাঁচটি ফেরিঘাটই চালু করা হয়েছে। যেসব ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি আছে সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। ঘাট ও মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খাদেল নেওয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৭টি ফেরির মধ্যে এখন ১৬টি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একটি ফেরি মেরামতে আছে।
‘২৭ তারিখ থেকে ২১টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে। সব ফেরি সচল থাকলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। যদি ফেরিতে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে।’
জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খাঁন জানান, ঈদে সাটুরিয়া বারোবাড়িয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে ৮ শ পুলিশ কাজ করবে। এ ছাড়া র্যাব ও আনসার সদস্যরাও থাকবে।
আজাদ বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ঘরমুখো মানুষের জন্য কাজ করছি। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করবে ফেরি কর্তৃপক্ষের ওপর। পর্যাপ্ত ফেরি না থাকলে আমাদের এই পরিশ্রম কোনো কাজে আসবে না।
‘কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো ফেরি পরিচালনা করলে ঘাটে কোনো ভোগান্তি হবে না। না হলে পাটুরিয়ায় ভোগান্তির শেষ থাকবে না।’
ঈদে যানবাহনে বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী যেন না নেয়া হয় সে জন্য তৎপরতার কথা জানিয়েছেন জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাস মালিক ও চালকদের সঙ্গে মিটিং করেছি যেন তারা বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী না নেয়। চালকদের সতকর্তার সঙ্গে গাড়ি চালাতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ জানান, ঈদে মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঘাটে যাত্রীদের ইফতার, বিশ্রাম ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকায় ও মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট কাজ করবে।