বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ ধাওয়া দেয়ায় বিক্ষোভে আ. লীগ

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০১:০৬

বিএনপির ইফতার আয়োজনে বাধা দিতে নেতাকর্মীরা গিয়েছিলেন জানিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম ফরিদ উল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির অনুষ্ঠানে সরকারবিরোধী মন্তব্য করায় তারা (নেতাকর্মীরা) এগিয়ে যায়। পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়। বিএনপির পক্ষ হয়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও মারধর করে।’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে বাধা দিতে গেলে পুলিশ পিটুনি দেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা পিটুনি দেয়া পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবিতে রোববার দুপুরে পৌর সড়কে মিছিল করেছেন। কিছু সময়ের জন্য সড়কও অবরোধ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজা জেসমিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। এরপর সড়ক ছেড়ে দেন বিক্ষুব্ধরা।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে উপজেলার চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতারের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক হামলা চালায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

ওই ইফতার আয়োজন বাধা দিতে নেতাকর্মীরা গিয়েছিলেন জানিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম ফরিদ উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির অনুষ্ঠানে সরকারবিরোধী মন্তব্য করায় তারা (নেতাকর্মীরা) এগিয়ে যায়। পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়। বিএনপির পক্ষ হয়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও মারধর করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। থানার ওসি ও ইনস্পেক্টর মারধর করে। তাদের প্রত্যাহার চাই।’

রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘সারা বাংলাদেশ আজ বিষ্মিত। এই জঘন্য ঘটনার বিচারটা করবে কে জানি না। এত সাহস পেলেন কোথায় পুলিশ মিয়া? এত উজাইয়া গেলেন কেরে? আওয়ামী লীগ আপনার কাছে এতটাই ঘৃণার?

‘আপনাদের হাতের লাঠি, বন্দুক রেখে রড দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মারলেন মুজিব সৈনিকদের। এইভাবে লাথি মেরে মনের ফাপ কমাইলেন নাকি? দৃশ্য দেখে আপনাদেরকে পুলিশ মনে হয়নি। পুলিশের এ্যাকশনের ধরন এটা না। আরে মিয়া দলটা কিন্তু পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগ। আপনাদের বড়জোর সাসপেন্ডের অর্ডার আসবে। এতেই কি ঘটনা শেষ?’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ‘ইফতার মাহফিলে ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ আহত হওয়ার খবর আমার জানা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর