বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যবসায়ী-ছাত্রদের সংঘর্ষে দায়ী সরকার: ফখরুল

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৪২

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (সরকার) আমাদের মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সব পেশাজীবীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মধ্যে যে ঘটনা, সেটা হলো ছাত্রলীগ ও পুলিশের ইন্ধনে। এ জন্য তারাই দায়ী।

‘উল্টো তারা (সরকার) বিএনপি নেতার নামে মামলা দিয়েছে। আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।’

রাজধানীর লেডিস ক্লাবে শুক্রবার বিকেলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সংঘর্ষে উসকানি দেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

মকবুল হোসেন সরদার নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা করে পুলিশ। সে মামলায় মকবুল এক নম্বর আসামি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা আমাদের মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সব পেশাজীবীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেডআরএফের সভাপতি তারেক রহমান।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।

আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা সংগঠন শক্তিশালী করছি। যারা বলে বিএনপি আন্দোলন করে না, রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে।

‘আমাদের আন্দোলন চলছে। হয়তো সাময়িক বিরতি আছে। বিরোধী দলকে জেলে ভরে কেটে মেরে বলছেন দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। মনে রাখবেন, বিএনপি এখনও আছে এবং থাকবে।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কাজ করছে। বিশেষ করে করোনার সময় অসংখ্য সেবামূলক কাজ করেছে ফাউন্ডেশন। সমাজের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখছে জেডআরএফ।

‘মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে দেশের আসল চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও আইনের শাসন খর্ব করা হয়েছে সেগুলো বলা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কারাবন্দি করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার অন্যায়ভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। আর সরকার মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর