স্বামীর নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ এনে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলার আবেদন জমা পড়েছে খুলনার একটি বিচারিক আদালতে।
আবেদনকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মীর সোহরাব হোসেনের স্ত্রী সানজিদা খান।
খুলনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে তিনি বুধবার মামলার আবেদন করেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিপন।
বাদীর আইনজীবী জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৮ মে আদালত শুনানির দিন ঠিক করেছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ফজলে বারীর স্ত্রী জেরিন তাসনিম ২০২০ সালে তার ‘জেরিন.তাসনিম-৩’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ওই শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। তার ওই পোস্ট পরে রাজধানীর সবুজবাগ থানার প্রজ্ঞা তাপসী খান, মীরপুরের জান্নাতুল নাইমা, বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোডের প্রমা এহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক মৌমিতা রায় ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেখ মাহমুদুল হাসান নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া তাদের এসব অপপ্রচারমূলক পোস্টে অনেকেই অপ্রীতিকর নানা মন্তব্য করেন।
অভিযোগকারী সানজিদা খান উল্লেখ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার স্বামীর সম্মানহানি করেছেন। এতে তিনি সামাজিক, পারিবারিক, কর্মস্থলসহ দেশে-বিদেশে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন। এ কারণেই ন্যায়বিচার ও প্রতিকার পেতে আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন।’
শিক্ষক অধ্যাপক মীর সোহরাব হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেরিন তাসনীম ও প্রজ্ঞা খান নামের দুজন নারী আমাকে জড়িয়ে ফেসবুকে তাদের কথিত ছোটবেলার কল্পকাহিনির অবতারণা করেন, যা বাস্তবতাবিবর্জিত এবং যার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। নোংরা কাহিনি প্রচার করে তারা সবার সস্তা সহানুভূতি ও বাহবা পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। আর অন্যরা কোনো ধরনের যাচাই না করেই সেগুলো শেয়ার ও আজেবাজে কমেন্টস করেছে। এতে আমি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি।’