বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেলসেতু থেকে উদ্ধার নারীর মৃত্যু কীভাবে?

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ২১:৩৮

ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, ‘ওই দিন আমরা ইফতারের পর মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহের শরীরে বেশ কিছু আঘাত ছিল। হাত-পা ভাঙা ও মাথা ছিন্নভিন্ন ছিল। তা ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রেলে কাটার মতো দাগও ছিল। সাধারণত রেলের ধাক্কায় মারা গেলে মরদেহের অবস্থা এমন হয়ে থাকে।’

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেলসেতুর পাতে বিবস্ত্রপ্রায় ঝুলে আছে এক নারীর মরদেহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শনিবার রাত থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এমন একটি ছবি। ধর্ষণের পর খুন দাবি করে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী এটি শেয়ার করেছেন। বিষয়টি যাচাই করতে পুলিশ মরদেহের আলামত সংগ্রহ করেছে। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ধারণা করা হচ্ছে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েছেন।

মরদেহের প্রথমে নাম-পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে পরিচয় মিলেছে ওই নারীর।

পুলিশ জানায়, ওই নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানায়। তার বয়স ৩৮ বছর।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির ক্যাপশনে মিরসরাইয়ের ধুবঘাট রেলব্রিজের কথা উল্লেখ করলেও নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায় জায়গাটির নাম আসলে ধুমঘাট।

ঘটনাটি মূলত শুক্রবার বিকেলের। ওই দিন পৌনে ৫টার দিকে ফেনী জেলা পুলিশের ফোন পেয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার সীতাকুণ্ড ফাঁড়ি পুলিশ মিরসরাইয়ের ধুমঘাট রেলসেতু থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। সে সময় বিবস্ত্রপ্রায় মরদেহের শরীরে রেলে কাটা পড়ার মতো আঘাত ছিল বলে দাবি ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলমের।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই দিন আমরা ইফতারের পর মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহের শরীরে বেশ কিছু আঘাত ছিল। হাত-পা ভাঙা ও মাথা ছিন্নভিন্ন ছিল। তা ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রেলে কাটার মতো দাগও ছিল। সাধারণত রেলের ধাক্কায় মারা গেলে মরদেহের অবস্থা এমন হয়ে থাকে।

‘তাই আমাদের ধারণা, তিনি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন৷ আমরা সে সময় কোনো স্থানীয়কে পাইনি। তবে ওই এলাকাটি কিছুটা নির্জন। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে বেলা ৩টার পর থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গেছে বলে জানতে পেরেছি। তা ছাড়া আমরা এ রকম কোনো মরদেহ পাওয়া গেলে সব সময় সঙ্গে নারী সদস্যদের (পুলিশি) নিয়ে যাই। তারা পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে কোনো সমস্যা পাননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুরুতে তার পরিচয় পাইনি। পরে পিবিআইয়ের সহযোগিতায় রোববার বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। আর ওই নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত ছাড়াও ভ্যাজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠিয়েছি পরীক্ষার জন্য। তাই আপতত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।’

ধুমঘাট হিঙ্গুলি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কিছুই জানেন না। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলতাফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি শনিবার ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। খবর নিয়ে দেখেছি যিনি মারা গেছেন আমার এলাকার কেউ তাকে চেনে না। আর আমাদের এলাকায় এ রকম কেউ ভাড়াও থাকে না।’

যে জায়গায় ওই নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে, জায়গাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জায়গাটি কিছুটা নির্জন, মানুষজন খুব কম। রেললাইনের পাশে একটি রাস্তা আছে, তবে ওই রাস্তা পার হওয়ার জন্য ব্রিজে উঠতে হয় না, নিচ দিয়ে যাওয়া যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর