সিলেট সদরে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা ১০০ মোবাইল ফোনসেট জব্দ করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোন চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে জাফর সাদেক জয় আলী হলেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তামাবিল কয়লা-চুনাপাথর আমদানিকারক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলীর ছেলে। অন্য দুজন হলেন আক্তার হোসেন ও লিমন মিয়া।
সদর উপজেলার পীরের বাজার থেকে বৃহস্পতিবার রাতে সবাইকে আটক করা হলেও শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনুসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শাহপরান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম রায় চৌধুরী জয়সহ চারজনের নামে চোরাচালানের মামলা করেন। তাতে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার ও আরেকজনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, আগে থেকে পাওয়া চোরাচালানের তথ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের পীরের বাজার এলাকায় একটি প্রাইভেট কার থামান এসআই উত্তম। সেটি চালাচ্ছিলেন লিমন, আরোহী ছিলেন জয় ও আক্তার। গাড়ি তল্লাশি করে কার্টনে মোড়ানো অবস্থায় ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির ১০০টি মোবাইল ফোনসেট পাওয়া যায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ওই সেটগুলোর আনুমানিক মূল্য ২১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। সেগুলো আমদানির কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি ওই তিনজন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অবৈধভাবে সেগুলো নিয়ে আসার বিষয়টি জানিয়েছেন। বিক্রির জন্য সেগুলো সিলেট নগরের করিমউল্লাহ মার্কেটের মো. শিপলু নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
শিপলু ওই মামলার চতুর্থ আসামি।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জয় দীর্ঘদিন থেকেই চোরাচালানে জড়িত। ছেলের এই অবৈধ কাজে বাবা লিয়াতক আলীও সহযোগিতা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে লিয়াকত আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।