বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌপথে টিকিট কাটতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:০৬

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মূলত যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে আমরা এটা শুরু করব, কিন্তু ঈদের পরে স্থায়ীভাবে এটা কার্যকর থাকবে।’

নৌপথে ঈদের টিকিট কাটতে বাধ্যতামূলকভাবে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সচিবালয়ে নৌ মন্ত্রণালয়ের ঈদ প্রস্তুতিবিষয়ক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘লঞ্চের ক্ষেত্রে আমরা যাত্রীদের যেটা বলেছি, আমাদের যে জাতীয় পরিচয়পত্র আছে সেটা অবশ্যই দিতে হবে টিকিট সংগ্রহ করার আগে। কেবিনেই হোক বা ডেকেই হোক লঞ্চে উঠতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরটা সরবরাহ করতে হবে। নাহলে টিকিট দেয়া সম্ভব হবে না। এখানে মালিকরা আছেন, শ্রমিকরা আছেন, সবাই মিলেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য।

‘আরও একটি কারণ আছে, আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে লঞ্চের কেবিনের মধ্যে কয়েকজন যাত্রীর কিছু ঘটনা ঘটেছে। এগুলো অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী বিপদে পড়ে যায়। আমরা এটা নিশ্চিত হতে চাই কোন লঞ্চে কারা যাত্রী হচ্ছেন।’

এনআইডি দিয়ে টিকিট দেয়ার সক্ষমতা আছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয় নগদ বা বিকাশ এ্যাকাউন্ট আছে। যাত্রীদের অধিকাংশেরই এ ধরনের ব্যবস্থাপনা আছে। সেখানে কিন্তু আইডি লাগে। আমাদের লঞ্চের শত বছরের চলাচলের যে একটা অভ্যাস সেটা তো আমরা ওভারনাইট পরিবর্তন করতে পারবো না।

‘এটা আমরা ঈদের মধ্যে শুরু করব, ঈদের পরে আমরা আরও বেশি কঠোর হবো। এটা একটা স্থায়ী ব্যবস্থাপনা হবে। ন্যাশনাল আইডি ছাড়া কোনো টিকিট আমরা যাত্রীদের দেব না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের লঞ্চে যারা যাবে বিশেষ করে বরিশাল, ভোলা, সন্দ্বীপ দূরপাল্লার যারা যাচ্ছেন তাদের এনআইডি লাগবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে এই পরিচয়টা আমাদের প্রয়োজন। যেমন কিছুদিন আগে একটি লঞ্চের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না।

‘এরকম অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ লঞ্চে উঠলে তার পরিচয়টা যখন থাকবে তখন তার মধ্যেও কিন্তু বিষয়টি কাজ করবে যে আমার পরিচয় তাদের কাছে আছে। আমরা মোবাইল নম্বরের কথা চিন্তা করেছিলাম কিন্তু দেখা যায় অনেকেই সঠিক নম্বরটি দেন না। এনআইডিকেই আমরা নিরাপদ বলে মনে করেছি।’

যাদের এনআইডি নেই বা যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের টিকিটের ক্ষেত্রে জন্মসনদের কপি সরবরাহ করতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখনতো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মের কয়েকদিনের মধ্যে সনদ পেয়ে যাচ্ছে। ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’

রাতে স্পিডবোট আর দিনে বালুবাহী যান চলাচল বন্ধ

ঈদের মধ্যে রাতের বেলা স্পিডবোট আর দিনের বেলা বালুবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। ঈদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টাই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে সংকটে পড়েছি, আমাদের সবচেয়ে গর্বের স্থাপনা পদ্মা সেতু নিয়ে। এরই মধ্যে কয়েকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। এর কারণে আমরা অনেক ফেরি সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

‘মাত্র ছয়টি ফেরি সেখানে চলছে, শিমুলিয়া এবং ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে। এটা একটা বড় বিষয়। আমরা সেখানে দিনের বেলা ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল করছে। আমরা পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো যাতে ২৪ ঘণ্টা চলাচল করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘মাজিকান্দি, যেটা আমরা বিকল্প তৈরি করেছি, আমরা নির্দেশনা দিয়েছি চার দিনের মধ্যে সেখানে নতুন একটি ঘাট তৈরি হবে যেন আরও ফেরি সেখানে যুক্ত হতে পারে। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুরোধ জানাবো যাতে ঘাটটি চালু করার বিষয়ে তাদের যে জায়গা আছে সেটা যেন আমাদের চলাচলের জন্য দেয়। আমাদের যানবাহন পার্কিং করার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে যেন তারা জায়গাটা দেয়।

‘ফেরিঘাটটি আমরা এতে যাত্রীবান্ধব করতে পারবো। সড়ক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে আমাদের আগে থেকে অনুরোধ ছিল রাস্তাটি যাতে আরও ডেভেলপ করা হয়। আশা করছি, ঈদের আগেই এটি তৈরি হয়ে যাবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাশাপাশি এই রুটটিতে আমাদের ৮৩টি লঞ্চ আছে, সেগুলো যাতে চলে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেহেতু লঞ্চগুলোর রাতে চলার নেভিগেশন আছে, রাতেও যেন লঞ্চগুলো চলে এ সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। স্পিডবোট রাতে চলবে না। দিনের বেলা আমাদের বালুবাহী যেসব নৌযান আছে সেগুলো চলবে না।

‘আরেকটি বিষয় বলেছি আমাদের নির্ধারিত যে ভাড়া সেটাই নিতে হবে। অনেকে কম ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চে তুলে ফেলেন এতে ঝুঁকি তৈরি হয়। এখানে যেন কোনো মালিক কম ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারেন, এটা যেন না হয় এটা আমরা তদারকি করবো।’

তিনি বলেন, ‘এবার ঈদের আগে বিকল্প একটি নৌপথ আমরা তৈরি করেছি বালাসি এবং বাহাদুরাবাদ, এখানে লঞ্চ সার্ভিস আমরা চালু করেছি। আমরা রেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুটি ট্রেন আছে, সময়টা আমরা সেভাবে যুক্ত করে নিতে পারি।

‘ফেরিগুলো ডকে আছে মেরামতের জন্য, এগুলো দ্রুত মেরামত করে ঈদে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। বিআইডব্লিউটিএ নিশ্চিত করেছে এবার ৫১টি ফেরি বিভিন্ন রুটে আমরা সেবার জন্য দিতে পারবো।’

এ বিভাগের আরো খবর