অর্থ পাচার মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ-সংক্রান্ত রায়ের নথি তলব করেছে আদালত। নথি আসার চার মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়েছে। মিজানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে গত ৭ এপ্রিল আপিল করে দুদক।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম অর্থ পাচার মামলায় রায় দেন। ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তারও করা হয়। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
গত ৪ এপ্রিল নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চান। পরে ৬ এপ্রিল আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট।
ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুদকের করা মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এনামুল বাছিরকে আট বছর ও মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেয়।
এর মধ্যে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের এ কর্মকর্তা।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান।