বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মগবাজারে সাড়ে ১৯ কাঠা জমির ওপর স্থিতাবস্থা: আপিল

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৪০

মগবাজারে সাড়ে ১৯ কাঠার জমিসংক্রান্ত মামলায় এই সম্পত্তির ওপর দখল এবং বর্তমান অবস্থার ওপর স্থিতিশীলতা জারি করেছে আপিল বিভাগ।

রাজধানীর মগবাজারে সাড়ে ১৯ কাঠা জমিসংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

একই সঙ্গে এই সম্পত্তির ওপর দখল এবং বর্তমান অবস্থার ওপর স্থিতিশীলতা জারি করেছে আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী, অন্যদিকে ছিলেন শেখ আওসাফুর রহমান বুলু।

ভোগদখল করে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক কমান্ডারের জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আইনজীবী আওসাফুর বুলু নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকার মগবাজারে আদ্‌-দ্বীন হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় ১৯৪৫ সালে দেশ ভাগের সময় বীরেন্দ্র নাথ রায় তার সাড়ে ১৯ কাঠা জমির আমমোক্তার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দিয়ে যান স্থানীয় সিরাজুল হককে।

২০ বছর পর ১৯৬৫-৬৬ সালে এ জমির খাজনা দিয়ে নিজের নামে নামজারি (মিউটেশন) করান। এরপর দীর্ঘদিন খাজনা না দেওয়ায় ১৯৯৯ সালে সরকার এ জমির খাজনা দাবি করে মামলা করে।

মামলার পর ১৯৯৯ সালের ২৫ জুলাই সিরাজুল হক ২ হাজার ৭৯২ টাকা খাজনা পরিশোধ করে জমির ভোগদখলে থাকেন। এর আগে তিনি এ জমিতে থাকা ভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সংযোগ নেন। এভাবেই সিরাজুল হক এবং তার পরিবার এ জমির ভোগদখল করে আসছিলেন।

এর মধ্যে হঠাৎ ২০০৮ সালে এ জমির খতিয়ান সংশোধন চেয়ে মামলা করে রাষ্ট্র। পরে ২০০৯ সালের ২৩ জুন এই জমি অধিগ্রহণের জন্য নোটিশ দেন রমনার ভূমি কর্মকর্তা।

নোটিশে বলা হয়, 'বড় মগবাজার মৌজার আরএস খতিয়ান নং-১, দাগ-২, ০.২৬৪৪ একর (কমবেশি) সম্পত্তি বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং সদস্যদের আবাসন সুবিদার জন্য স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এবং জনস্বার্থে প্রয়োজন।’

এ জমির বাজারমূল্য ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার ৫২৯ টাকা উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর জমির মালিক বীরেন্দ্র নাথকে নোটিশ দেয় রমনা ভূমি অফিস।

এরপর ভূমি অধিগ্রহণের গেজেটও জারি করা হয়। গেজেট জারির কিছুদিন পর জমির ভোগদখলকারী সিরাজুল হকের পরিবারকে উচ্ছেদ করে প্রশাসন। এরপর ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সিরাজুল হকের স্ত্রী মালেকা সিরাজ ও তার পাঁচ সন্তান।

এই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১১ সালে অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) চেয়ে ওই বছরই আবেদন করে সরকার। চেম্বার আদালত প্রথমে আদেশ না দিলেও পরে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর