বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোথায় শ্রীলঙ্কা আর কোথায় বাংলাদেশ: কাদের

  •    
  • ৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৫৮

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ কখনও ঋণখেলাপি হয়নি। শ্রীলঙ্কায় জাতীয় আয়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের অনুপাত ৬১ শতাংশ আর আমাদের জাতীয় আয়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৩ শতাংশ।’

বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু বিদেশি ঋণনির্ভর নয়। যেখানে শ্রীলঙ্কার ঋণ কঠিন শর্তে অধিকতর সুদের হারে পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ সহজ শর্তে স্বল্প সুদে। কোথায় শ্রীলঙ্কা আর কোথায় বাংলাদেশ।

‘তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি ভারসাম্যমূলক অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবে না।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত ইউনিট কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকে শ্রীলঙ্কার চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করতে চায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বড় প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে, উন্নয়নের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন শ্রীলঙ্কার কথা বলে। বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে।

‘বাস্তবতা হলো- বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা না জেনেই বলছেন কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচারে করছেন। কেননা বাংলাদেশ দেশের ভেতর, বাইরে ঋণ গ্রহণে কখনও সহনীয়তার সীমা অতিক্রম করেনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ কখনও ঋণ খেলাপি হয়নি। শ্রীলঙ্কায় জাতীয় আয়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের অনুপাত ৬১ শতাংশ আর আমাদের জাতীয় আয়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৩ শতাংশ। যারা অপপ্রচার করছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে করে যাচ্ছে। আমরা ডলারকে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে পেরেছি। আমাদের দেশের কেউ শ্রীলঙ্কার মতো ইচ্ছে করলে বিদেশে ডলার পাঠাতে পারবে না। চিকিৎসা, শিক্ষা যেকোনো খাতে বিদেশে অর্থ পাঠানোর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে তারপর পাঠাতে হয়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অপপ্রচার করে চরিত্র হনন করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে প্রপাগন্ডা করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের মাটি ও মানুষের অন্তরে। মাটির অনেক গভীরে যার শিকড়। এই শিকড় কেউ অপপ্রচার করে উপড়ে ফেলতে পারবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যায়। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়। দক্ষিণ এশিয়া নদীর তলদেশে টার্নেল এখন স্বপ্ন নয়। চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টার্নেল এখন বাস্তব। অপপ্রচার করে টার্নেল বন্ধ করা যাবে না। অপপ্রচার করে পদ্মা সেতু বন্ধ করা যাবে না। অপপ্রচার করে মেট্রোরেল বন্ধ করা যাবে না।

‘অপপ্রচার করছেন, অপেক্ষা করুন মাত্র কিছু দিন। অপেক্ষা করুন কাজ প্রায় শেষ। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান, কর্ণফুলী টার্নেল দৃশ্যমান হচ্ছে। এগুলো কি এখন স্বপ্ন? এগুলো এখন বাস্তবতা। স্বপ্ন আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা। আমরা শুধু স্বপ্ন দেখি না, স্বপ্ন দেখাতেও জানি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অপপ্রচার করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন স্তব্ধ করা যাবে না। অপপ্রচার করে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা বন্ধ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর