বগুড়ার আদমদীঘিতে দুই ভাতিজার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করায় স্ত্রীর মাথার চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
৪৪ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম আদমদীঘির বাসিন্দা। ওই গৃহবধূ গত বুধবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে আদমদীঘি থানায় মামলা করেন। এ মামলা করায় তার স্বামী তাকে মারধর করে চুল কেটে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন।
ওসি বলেন, ‘১৭ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী দুলু ফকির বাড়িতে ঢুকে ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই দিনই বেলা আড়াইটার দিকে দুলুর ছোট ভাই হান্নান ফকির বাড়িতে ঢুকে বড় ভাইয়ের ধর্ষণের বিষয়টি লোকজনকে জানালে তার সংসার ভেঙে দেবেন বলে হুমকি দিয়ে তিনিও ধর্ষণ করেন। দুলু ফকির ও হান্নান ফকির রফিকুলের ভাতিজা।’
এ ঘটনায় ওই নারী আদমদীঘি থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় ওই দুই ভাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।
ওসি বলেন, ‘মামলা করার কারণে রফিকুল স্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হন। এর জেরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তার মাথার চুল কেটে প্রতিবেশীদের সামনে ঘোরান।’
পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ওসি।
ওসি জালাল আরও জানান, ওই নারীর মানহানি ও শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করার অভিযোগেও মামলা হয়েছে। সে মামলায় রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর সঙ্গে ১৮ মাস আগে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রী জানতে পারেন রফিকুল আগে একাধিক বিয়ে করেছিলেন। রফিকুলের ভাতিজা দুলু ফকির ওই নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।