হবিগঞ্জের লাখাইয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে আসামি মুমিনুল হককে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯।
সন্ধ্যায় কোম্পানী কমান্ডার লে. নাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার মুমিনুল হক ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।
র্যাব জানিয়েছে, ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে তার বাবা গত ২৩ মার্চ লাখাই থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা শিক্ষক মুমিনুলকে গ্রেপ্তার করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত তিন বছর ধরে সহকারী শিক্ষক মুমিনুল ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে আসছেন। প্রথম দিকে ভয়ে ওই ছাত্রী কাউকে কিছু বলেনি। পরে করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল খোলার পর ফের মুমিনুল হক ওই ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত শুরু করেন।
গত ১৬ মার্চ সকালে স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশ চলাকালে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় ওই ছাত্রী স্কুলভবনের তৃতীয় তলার শ্রেণিকক্ষে গিয়ে বসে। সঙ্গে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল। এ সময় শিক্ষক মুমিনুল সেই কক্ষে গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বের করে দেন। পরে তিনি ওই ছাত্রীর কাছে গিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। একপর্যায়ে তার হাত ধরেন।
এ সময় স্কুলের সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন এবং আয়া গৌড়ী সেখানে গেলে মুমিনুল হাত ছেড়ে দিয়ে নিচে চলে যান। শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ও আয়া গৌড়ী নেমে পড়লে তিনি ফের গিয়ে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরেন। তখন ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে মুমিনুল হক তার মুখ চেপে ধরেন।
চিৎকার শুনে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল করিমসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে মুমিনুল সেখান থেকে চলে যান।
এ ঘটনায় ২৩ মার্চ দুপুরে স্কুলশিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। পরে শিক্ষক মুমিনুলকে সাময়িক অব্যাহতি দেন।
ওইদিনই স্কুলছাত্রীর বাবা মুমিনুলের বিরুদ্ধে লাখাই থানায় মামলা করেন। এরপর থেকেই মুমিনুল আত্মগোপনে যান।