গাজীপুরের গাছা এলাকায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় এক মুয়াজ্জিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গাজীপুর মহানগর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শুক্রবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠায়।
২৩ বছর বয়সী ইমরান বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার বাদলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গাছা থানাধীন বায়তুর মামুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ওই শিশু আইসক্রিম হাতে নিয়ে মক্তবে পড়তে বায়তুর মামুর জামে মসজিদে যায়। পরে শিশুটি হাত ধোয়ার জন্য মসজিদের চতুর্থ তলায় রান্নাঘরে গেলে মুয়াজ্জিন ইমরান তাকে ধর্ষণ করেন।
‘বাসায় ফিরে শিশুটি ঘটনার বিষয় পরিবারকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে রাতে ওই মসজিদ থেকে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনকে আটক করে পুলিশ।’
ওসি আরও বলেন, ‘ওই শিশুর বাবা বৃহস্পতিবার রাতে গাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন ইমরানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
এদিকে মসজিদ-মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণের ঘটনারোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মো. ইলতুৎমিশ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মসজিদ-মাদ্রাসায় শিশুদের সঙ্গে এ ধরনের ন্যক্কারজনক অপরাধ যেন না ঘটে সে জন্য আমরা সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য বিশেষ দাবি জানিয়েছি। নগরীর প্রতিটি মসজিদ-মাদ্রাসাকে দ্রুত সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।’