লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হাতির আক্রমণে দুজন আহত হয়েছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলার ঘুন্টিবাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন হাতীবান্ধা উপজেলা টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের অফিস সহকারী হাফিজুল ইসলাম ও খোর্দ্দ বিছন দই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস চন্দ্র।
স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ২০ দিন আগে রাজমনি সার্কাস শুরু হয়। রমজান মাস শুরুর আগের দিন ২ মার্চ সার্কাস বন্ধ করে দেয়া হয়। সার্কাস বন্ধ হলেও হাতিটি সার্কাসের প্যান্ডেলেই রাখা আছে। মাহুত হাতিটি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদা তোলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাফিজুল ও তাপস মোটরসাইকেলে হাতীবান্ধা থেকে ঘুন্টিবাজার এলাকায় আসার পথে হাতি দিয়ে তাদের পথরোধ করে মাহুত চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে মাহুতের সঙ্গে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর হাতিটি শুঁড় দিয়ে মোটরসাইকেল তুলে ফেলে দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা হাফিজুল ও তাপস আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিরম্ব বর্মন জানান, হাফিজুলের পা ভেঙে যাওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাফিজুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা টাকা দিতে দেরি করায় মালিকের ইশারায় হাতিটি শুঁড় দিয়ে আমাদের আঘাত করে। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আমার পা ভেঙে যায়।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ গিয়ে হাতিটি সরিয়ে দেয়। পরে মাহুত হাতি নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।’