দুই দেশ, ইরান ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধসংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবং বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমাদের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যে দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে, এই দুটি সে রকমই।’
দ্বৈত করারোপ পরিহার চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ সমঝোতার ভিত্তিতে করের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে। এই সুবিধা নিয়ে ওইসব দেশের প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে তাদের অর্জিত অর্থ নিজ দেশে পাঠানোর সময় হ্রাসকৃত হারে উৎসে কর পরিশোধ করতে পারে।
তবে এ ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত করের হার বা উৎস কর কর্তন ছাড়াই বিদেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত করারোপণ চুক্তির আওতায় কী পরিমাণ কর কর্তন আইনসংগত এ সম্পর্কিত এনবিআরের সুনির্দিষ্ট অনুমোদন নেয়ার আবশ্যকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২২-এর খসড়াতেও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।