নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের এই অবস্থানের কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। রাজনৈতিক দলগুলো সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এ নিয়ে আমরা কিছুই বলব না। কেননা আমরা আইন ও সাংবিধানিক বিধিবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছি।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে তৃতীয় দফার সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এমন মন্তব্য করেন।
দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ইসির তৃতীয় দফা সংলাপে ২৩ সম্পাদকসহ ৩৪ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে সংলাপে অংশ নেন ২৩ জন। বাকি ১১ জন ইসির এই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।
নিজেদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো কমিশন সভা না করেই গত মাসে দুই দফা সংলাপে বসে ইসি। তবে সম্পাদকদের সঙ্গে সংলাপে বসার আগের দিন প্রথম কমিশন সভায় বসে তারা।
সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই। আজও সেভাবেই মতামত নিয়েছি। তাদের বক্তব্য শোনার জন্য সংলাপ করেছি। তাদের মতামত নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে ব্রেন স্টর্মিং করব। কোন কোন বিষয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে। সেগুলো আমাদের পরিকল্পনার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে কাজ করব।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় আনতে পারবেন বলে মনে করেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘আমরা এখনও মনে হওয়ার মতো পর্যায়ে যাইনি। তবে আমরা সব সময় আশাবাদী। চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। মানুষের সাধ্য আর প্রচেষ্টায় সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। তবে আমরা আমাদের সব শক্তি দিয়ে, সব প্রয়াস দিয়ে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করব।’
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন এর আগে ১৩ মার্চ প্রথম দফায় ৩০ শিক্ষাবিদকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাতে ১৭ জনই সাড়া দেননি। দ্বিতীয় দফার সংলাপে ৪০ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরে একজনকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। ওই পর্যায়ে ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে সংলাপে অংশ নেন ১৯ জন।