রাজধানীর উত্তর মুগদায় ১০ মাস ধরে ঘরে বন্দি করে রাখা কানাডিয়ান নাগরিকত্ব পাওয়া এক তরুণীকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী রোববার বেলা আড়াইটার দিকে তাকে আদালতে হাজির করতে মুগদা থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপশি এই তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ঘরবন্দি করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
আদেশের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। কানাডিয়ান হাইকমিশনের একজন প্রতিনিধিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রিট আবেদন সূত্রে জানা যায়, ১৯ বছরের ওই তরুণী জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। কানাডার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তার বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেয়া হয়নি।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে তার নানি ও মা সব সময় বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ড ফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনকে জানান যে তাকে জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি কানাডায় ফিরে যেতে চান।
এ ঘটনায় হাইকমিশন থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি মুগদা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপরও কোনো কাজ না হলে কানাডিয়ান হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। তাতে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি এবং ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।