দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষলে ছোবল থেকে রেহাই পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘অপরাধী আর দুর্নীতিবাজদের লালন নীতি বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। অপরাধী কিংবা অপকর্মকারীরা কখনো কোনো দলের স্বার্থের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে না
‘অপরাধীদের দল যদি অন্যের ক্ষতি করার জন্য পুষতে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের দ্বারা তাদেরই ক্ষতি হয়। দুধ-কলা দিয়ে সাপ পোষণ চলে কিন্তু তার ছোবল থেকে রেহাই পাওয়া যায় না।’
মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। দলীয় কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বকছেন।’ বিএনপি নেতারা সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের অযোগ্যতা, অক্ষমতা ও ব্যর্থতা আড়ালের অপচেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
‘সরকার ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বানোয়াট মামলায় কারাগারে আটক রাখতে বেপরোয়া হয়ে গেছে’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে চিরাচরিত মিথ্যাচার মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বলেই এসব নেতিবাচক মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে বিএনপি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা একদিকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, জনগণের সম্পদ এবং শান্তি নষ্ট করবে, বাসে আগুন দেবে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করবে, আর সরকার জনস্বার্থে ব্যবস্থা নিলে বলবে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে! দেশে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে, আইন আদালতের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই। দেশের মানুষ দেখেছে নিজ দলের সমর্থকরা, নেতারা অপরাধী হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা দেয়নি। আইনের গতিকে বাধাগ্রস্ত করেনি। যার বড় প্রমাণ শুদ্ধি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে নিজ দলের অনেক নেতা।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করলেই বিএনপি ঢালাও অভিযোগ তোলে এবং মিথ্যাচার করে। তাহলে কি নিজ দলে চিহ্নিত অপরাধীদের পুষতে চায় বিএনপি?’