বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানের ফ্লাইট বাড়াতে তৎপর সরকার

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:০১

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘কানাডার টরন্টোতে বিমানের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ১১ জুন থেকে ঢাকা ও টরন্টোর মধ্যে বিরতিহীন বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম চলমান। সিলেট-লন্ডন-সিলেট রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু আছে।’

যাত্রী পরিবহনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিমান) বহরে রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে ১৮টি নিজস্ব বিমান এবং বাকি তিনটি লিজ নেয়া (ইজারা)। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাড়াতে সরকার নিয়েছে নানা পদক্ষেপ।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সোমবার জাতীয় সংসদে এসব কথা জানান। নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিমান বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায়। এ জন্য নতুন নতুন রুট চালুসহ ফ্লাইট বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট, ঢাকা-সৈয়দপুর, সিলেট-কক্সবাজার ও কক্সবাজার-সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়েছে। যশোর-চট্টগ্রাম-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা আছে।

‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পুনঃপ্রবর্তন করা হচ্ছে। নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্যে দিল্লি, মদিনা, ম্যানচেস্টার, হংকং, গুয়াংজু ও শারজাহতে ফ্লাইট পরিচালনা/পুনঃপ্রবর্তনসহ বিভিন্ন গন্তব্যে সাপ্তাহিক ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কানাডার টরন্টোতে বিমানের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ১১ জুন থেকে ঢাকা ও টরন্টোর মধ্যে বিরতিহীন বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম চলমান। সিলেট-লন্ডন-সিলেট রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু আছে।

‘নারিতা ও বাহরাইনে ফ্লাইট পুনঃপ্রবর্তন ও নতুন গন্তব্য হিসেবে চেন্নাই, মালে ও কলম্বোতে বিমানের সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হওয়া সাপেক্ষে অদূর ভবিষ্যতে নিউ ইয়র্ক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা আছে। তবে বিদ্যমান রুটগুলোর মূল্যায়ন করে লাভজনক রুট চিহ্নিতকরণ ও নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

সংসদে মাহবুব আলী বলেন, ‘বিভিন্ন ক্রয় চুক্তির আওতায় ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিমান বহরের জন্য মোট ১৫টি নতুন উড়োজাহাজ কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ থেকে ২০১৯ সময়কালে চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি ৭৩৭-৮০০, চারটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ও দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজসহ মোট ১২টি নতুন উড়োজাহাজ সংগ্রহ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বহরে বিদ্যমান পুরোনো উড়োজাহাজ বাতিল করে বহর আধুনিকায়নপূর্বক বাংলাদেশ বিমান এক নতুন যুগে প্রবেশ করে।

‘অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে পরিচালনার জন্য তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ হয়েছে। এ ছাড়া লিজ ভিত্তিতে তিনটি উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ করা হয়েছে। যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়াতে বিমানবহরে নতুন প্রজন্মের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী উড়োজাহাজ সংযোজনের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর