বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৪৩

ফরিদপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল্লাহ হিস সায়াদ বলেন, ‘শিশুরা যখন তখন যা খুশি পায় তা ধরে, মুখে দেয়। তাই তাদের সাবধানে রাখতে হবে। সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডাইরিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।’

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। রোগীতে ঠাসা হাসপাতালের বেডগুলো, বাকি থাকছে না ফ্লোরও।

ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালের চিত্রও একই। ভিড় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর; এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু বলে জানিয়েছেন শিশু চিকিৎসকরা।

ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সিট রয়েছে ১০টি। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। একই অবস্থা শহরের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে।

ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের বাসি ও পচা খাবার থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি পান এবং সব সময় পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান।

বৃহত্তর ফরিদপুরের অন্যতম শিশু চিকিৎসা কেন্দ্র ড. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে আন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ২০০ ডাইরিয়া রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ডাইরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। আগের চেয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কোথাও কোথাও সেবা দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে, তবে এখন পর্যন্ত সব নিয়ন্ত্রণে আছে।’

ফরিদপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ সীমাবদ্ধতা থাকার পরও সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। পাতলা পায়খানা ও বমি নিয়ে প্রতিদিনই অনেক শিশু রোগী আসছে।’

এ সময় কথা হয় মাদারীপুর জেলার দিনমজুর আক্তার শেখের সঙ্গে। তিনি জানান, তার দুই শিশুসন্তানের গত এক সপ্তাহ ধরে বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। তাই মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আক্তার বলেন, ‘শনিবার ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি হলেও রোগীর চাপে বেড ফাঁকা না পেয়ে ফ্লোরেই থাকতে হচ্ছে। তবে আমার সন্তানরা এখন আগের থেকে সুস্থ আছে।’

ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এমদাদুল হক শামীম বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

ফরিদপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল্লাহ হিস সায়াদ বলেন, ‘শিশুরা যখন তখন যা খুশি পায় তা ধরে, মুখে দেয়। তাই তাদের সাবধানে রাখতে হবে। সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর হাত ধুয়ে দিতে হবে। ডাইরিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর