বাড়ি নির্মাণ বাবদ চাঁদা না দেয়ায় লাঞ্ছিত করে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তার স্বামী। তিনি জানান, স্থানীয় চাঁদাবাজের ইটের আঘাতে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই নারীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মৃত আফিয়া খাতুন নগরীর কাশিপুর ফিশারি রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন সাবেক সেনা সদস্য।
ওই এলাকাতেই এই দম্পতি নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করছিলেন।
গিয়াস বলেন, ‘নতুন বাড়ি নির্মাণ করার জন্য আজ (রোববার) টিউবওয়েল বসানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি নির্মাণ বাবদ স্থানীয় সন্ত্রাসী মো. মনু চাঁদা চেয়ে আসছিলেন। সেই চাঁদা না পেয়ে মনু সন্ধ্যায় আমাকে মারধর করে। পরে একটি ইট দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে আমার স্ত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
আফিয়ার মেয়ে আফরিন বলেন, ‘আমার মাকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মনুকে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ২ ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার শুভ ওঝা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা তিনি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে মারা গেছেন। তার মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি। তাছাড়া তার উচ্চ রক্তচাপ ছিল।’
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।