বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পঞ্চগড়ে গরুর মাংসের কেজি ৬৭০ টাকা, বিশেষ দিনে ৭০০

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:২৬

পঞ্চগড় শহরের মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় গরু আসা বন্ধের কারণে দেশি গরুর মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে গোখাদ্যের বেশি দামের কারণে গরুর দাম বেড়ে গেছে, তাই ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ভালো গরুর মাংস কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ছয় মাস আগেও পঞ্চগড়ের হাটবাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকায়। মাংস ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে বাড়াতে তা এখন দাঁড়িয়েছে ৬৭০ টাকায়। শবে বরাতসহ বিশেষ দিনে চাহিদা বেড়ে গেলে গরুর মাংসের কেজি হয়ে যায় ৭০০ টাকা।

ক্রেতারা জানান, জবাবদিহি না থাকায় পঞ্চগড়ে গরুর মাংসের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাংসের বাজার মনিটরিং এবং দাম নির্ধারণে কোনো নির্দেশনা নেই। ফলে রমজানে চড়া দামে মাংস কিনতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে সীমান্ত দিয়ে গরু আসত। বর্তমানে সীমান্তে কঠোর নজরদারিতে ভারতীয় গরু আসছে না। এ ছাড়া বাজারে গোখাদ্যসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশি গরুর দাম বেড়েছে।

বাড়তি দামে দেশি গরু কিনে ৬৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও তেমন লাভ হয় না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

পঞ্চগড় শহরের মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় গরু আসা বন্ধের কারণে দেশি গরুর মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে গোখাদ্যের বেশি দামের কারণে গরুর দাম বেড়ে গেছে, তাই ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ভালো গরুর মাংস কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।

জেলা শহরের মসজিদপাড়া গ্রামের রফিকুল আলমের অভিযোগ, বাজারে কয়েকজন অসাধু মাংস ব্যবসায়ী অসুস্থ গরু বিক্রি এবং ওজনে কম দিয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন। পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কোনো ভূমিকা চোখে পড়ে না। বিশেষ দিনে গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কোনো মনিটরিং নেই বলে দাম লাগামছাড়া।

পঞ্চগড় বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম জানান, জেলা প্রশাসনের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজারের সব ব্যবসায়ীকে রমজানে ন্যায্যমূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পণ্যমূল্য বিষয়ে পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন জানান, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বার্তাসহ প্রচারাভিযান চালু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, রমজানে ভেজাল নিরীক্ষণসহ সহনীয় দামে খাদ্যদ্রব্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। প্রতিদিন জেলা সদরসহ সব উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর