বন্দরনগরী চট্টগ্রামে রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে ইফতারের বাজার। অভিজাত রেস্তোরাঁ থেকে ফুটপাত, সর্বত্র বাহারি ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসছেন বিক্রেতারা।
দুপুরের পরপরই দোকানের বাইরে সামিয়ানা টানিয়ে ইফতারি বিক্রির প্রস্তুতি শুরু করেন বিক্রেতারা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বাড়ে ক্রেতাদের ভিড়।
রমজানের প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে হালিমের হাঁড়ির সামনে। রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে নগরীর জিইসি মোড় এলাকার হান্ডি রেস্টুরেন্ট থেকে হালিম কিনছেন ক্রেতারা। হালিমের পাশাপাশি ক্রেতাদের পছন্দের হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি,মেজবানির মাংস, শ্রীলঙ্কান রোল, শাম্মি কাবাব, বাট্টি পরোটা, চিকেন কাটলেট, জিরা পানি, দই-জিরা পানি, জুস, হালিম আখনি, ল্যাম্ব শর্মা, চিকেন শর্মা, শ্রিম্প পাকোড়া, পুরান ঢাকার শাটল কাবাব, মাটন লেগরোস্টসহ নানা মুখরোচক ইফতারসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে দেদার।
নগরীর হান্ডি রেস্টুরেন্টে হালিম কিনতে আসা গরিবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা আলি আব্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে প্রতি বছর তিন ধরনের হালিম পাওয়া যায়। ওরা যেটা করে আলাদা করে বিফ, চিকেন ও মাটন হালিম তৈরি করে। অবস্থা এমন হয়েছে যে এখন হালিম ছাড়া ইফতার, এটা কল্পনাই করা যায় না।’
হান্ডি রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক মাজহারুল হক বলেন, ‘প্রতি রমজানে আমাদের দৈনিক একশ কেজির বেশি হালিম বিক্রি হয়। হালিমের মধ্যে চিকেন, বিফ ও মাটন তিনটাই আছে। তিনটার দামও এক, প্রতি কেজি ৬৮০ টাকা।’
একই চিত্র নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকার রোদেলা বিকেল, ওয়াসা এলাকার কুটুমবাড়ি, দামপাড়ার ঢাবা, তিনতারকা হোটেল পেনিনসুয়ালা, জিইসি মোড় এলাকার মেরিডিয়ানসহ অভিজাত সব রেস্তোরাঁতেও।
জিইসি এলাকার মেরিডিয়ানে ইফতারি কিনতে এসেছিলেন নিজাম রোডের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথম রোজায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করব। বাসার সবার চাহিদা অনুযায়ী মাটন লেগরোস্ট ও চিকেন তান্দুরি নিব। দাম একটু বেশি, কিন্তু ভালো জিনিস পেতে চাইলে দাম তো একটু বেশিই হবে।’