বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেবে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৫৪

ফরিদপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বলেন, সড়কের দেবে যাওয়া থামাতে তাৎক্ষণিকভাবে গর্তে বল্লি গেড়ে বালুর বস্তা দেয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যে সড়কের স্থায়ী সংস্কারের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।’

ফরিদপুরের তালমা-নগরকান্দা আঞ্চলিক সড়কের শশা সেতুর পাশে সড়কের একটি অংশ গত বছরের জুলাই মাসে দেবে যায়। সে সময় বালুর বস্তা ও বাঁশ দিয়ে কোনো রকম ভাঙন ঠেকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

এরই মধ্যে ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই ঝুঁকি নিয়ে এ পথেই চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যানচালক ও যাত্রীরা।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি ফরিদপুর সদর থেকে নগরকান্দা উপজেলার ওপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাইলার মোড় পর্যন্ত চলে গেছে।

২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ মিটার প্রস্থের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের নগরকান্দার লস্করদিয়া এলাকায় শশা সেতুর পাশে কিছু অংশ গত বছর দেবে যায়। সেতুর সংযোগ সড়কে প্যালাসাইডিং (খাদযুক্ত জায়গা সংরক্ষণ) না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

জানা গেছে, নগরকান্দা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জয়বাংলা মোড় হয়ে ঢাকা ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরসহ দক্ষিণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে যেতে সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ভারি বৃষ্টির কারণে শশা সেতুর কাছে অন্তত ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন মিটার প্রশস্ত অংশে ছয় ফুট গভীরতায় সড়কটি দেবে যায়। সড়ক বিভাগ ওই অংশে বালুভর্তি বস্তা ফেলে ও বাঁশ দিয়ে কোনো রকম চলাচলের উপযোগী করে।

সড়কে বালুর বস্তা ফেলে ও বাঁশ দিয়ে কোনো রকম দেবে যাওয়া থামানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা

কিন্তু গর্ত ভরাট না করায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, কৃষিপণ্যের ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ নানা ধরনের যান চলাচল করছে।

সড়কে বাস ও ইজিবাইকের কয়েকজন চালক অভিযোগ করে বলেন, দেবে যাওয়া অংশে সংস্কারের নামে সরকারের অর্থ ব্যয় করলেও তা কোনো কাজে আসছে না।

জাকির হোসেন ১২ বছর ধরে এ সড়কে বাস চালান। দুই দিন পর পর সড়কের ওই অংশে তাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিশেষ করে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়।

তিনি বলেন, ‘কখন যে গাড়ি উল্টে যায়, সেই শঙ্কায় বুক ধড়ফড় করে।’

এর কারণ হিসেবে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, নির্মাণকাজ যথাযথভাবে না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে যাচ্ছে।

জুঙ্গরদি গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শশা এলাকায় সড়কটি প্রায়ই দেবে যায়। দায়সারা সংস্কারের কারণে দুই দিন পর পর দেবে যায়। এতে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।’

লস্করদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার বলেন, ‘সড়কের পাশে প্যালাসাইডিং না থাকায় ও একটানা ভারি বৃষ্টির কারণে কিছু অংশ দেবে যায়। তখন ওই অংশে যাত্রীদের খানিকটা দুর্ভোগে পড়তে হয়।’

ফরিদপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বলেন, সড়কের দেবে যাওয়া থামাতে তাৎক্ষণিকভাবে গর্তে বল্লি গেড়ে বালুর বস্তা দেয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যে সড়কের স্থায়ী সংস্কারের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

এ বিভাগের আরো খবর