বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চড়ামূল্যের বাজারে স্বস্তি পেঁয়াজে

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২২ ১১:১৪

এক মাস আগেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। সেটি এখন নেমে এসেছে ২২ থেকে ৩৫ টাকায়।

নিত্যপণ্যের চড়া বাজারে পেঁয়াজের দর এক মাসে কমেছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, তার মধ্যে রান্নার এ উপকরণটির এই মাসের আগে আগে এভাবে দাম হ্রাস সচরাচর দেখা যায় না।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ-টিসিবির হিসাবে গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দর কমেছে ২৫ শতাংশ আর ভারতীয় পেঁয়াজের দর কমেছে ৪০ শতাংশ। যদিও এই পণ্যটির বর্তমান দর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়, আর খুচরায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে পাঁচ টাকার মতো।

এক মাস আগেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘তিন দিন আগেও যে পেঁয়াজ ৩৫ টাকা বেচছি, আইজ তা ৩০ টাকা বেচতাছি। তয় ইন্ডিয়ানগুলা একটু বেশি দাম। ৩৫ টাকা কেজি। মহল্লার দোকানদার হয়তো পাঁচ টাকা বেশি নিবে।’

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দেশি পেঁয়াজের দর সাধারণত আমদানি করা পেঁয়াজের তুলনায় বেশি থাকে। তবে এখন দেশি পেঁয়াজের দরই ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় কম।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) দেশি পেঁয়াজ ছোটগুলা ১১০ টাকা । আর একটু ভালো বাছা (বাছাই করা) পেঁয়াজ নিতে চাইলে ১২৫ টাকা পাল্লা।’

খুচরা বাজারে কী অবস্থা

কারওয়ান বাজারের খুচরার চেয়ে রাজধানীর অন্য এলকায় খুচরায় দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

তেজগাঁও এলাকার বিক্রেতা সোহেল গাজী বলেন, ‘গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বেচছি, আইজ দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম বেশি তাই আনি নাই। গত সপ্তাহে কিছু আনছিলাম কাস্টমার তেমন নেয় না। যেগুলা রইয়া গেছে, সেগুলা কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বেচতেছি। বাজারে দেশি পেঁয়াজই বেশি।’

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩৩ থেকে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়, তবে নিট চাহিদা ২৯ লাখ। এর মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ দেশি উৎপাদন দিয়ে এবং বাকিটা ভারত বা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে চাহিদা মেটানো হয়।

তবে ২০১৯ সালে সরবরাহ সংকটে পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকা ঠেকলে কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। সরকারও পেঁয়াজ চাষে চাষিদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করে। এতে উৎপাদন বেড়েছে।

মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ২০২১ সালে ২ দশমিক ৩৭ লাখ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের উৎপাদন হয় ৩২ লাখ টন, যা বিশ্বে পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশকে তৃতীয় স্থানে তুলেছে।

তবে এর মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে নিট উৎপাদন প্রায় ২৪ লাখ টন। ঘাটতি থাকে পাঁচ লাখ টনের মতো। গত অর্থবছরেও আমদানি হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ টন।

রোজায় পেঁয়াজের চাহিদা থাকে প্রায় লাখ টনের মতো। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় এবার বাজারে সংকট থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

ভোক্তা খুশি হলেও চাষির নাভিশ্বাস

দেশে পেঁয়াজ চাষে প্রসিদ্ধ পাবনার বিভিন্ন হাটে পেঁয়াজের পাইকারি দর এখন মানভেদে মণপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। কৃষকরা বলছে, এই দরে বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না তেমন। এই মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধের দাবিও জানিয়েছে তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপপরিচালক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তোলন মৌসুমে বকেয়া পরিশোধের চাপ থাকায় পেঁয়াজ একসঙ্গে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন চাষিরা। এ জন্য দাম কম পান।’

এ বিভাগের আরো খবর