নাটোরের বড়াইগ্রামে সন্তান হত্যার মামলায় এক দম্পতির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামির আপিলের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আট বছর বয়সী শিশু ইয়াসিন আরাফাত ইমন হত্যায় দণ্ড পাওয়া দুজন হলেন তার বাবা ইমদাদুল হক মিলন ও সৎমা নাহিদা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহানা সাঈদ।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিশু ইমন হত্যায় দুজনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে হাইকোর্ট। কারণ এ ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী ছিল না। দুজনের মধ্যে কে হত্যা করেছে সেটিও নির্দিষ্ট নয়।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী ইউনিয়নের কামারদহ গ্রামে বাবা ইমদাদুল হক মিলন ও সৎমা নাহিদা বেগম শ্বাসরোধে ইমনকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ইমনের মা কুলসুমা বেগম থানায় মামলা করেন। মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ইমদাদুল হক ও নাহিদা বেগমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয়।
এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ইমদাদুল হকের পক্ষে জেল আপিল করা হয়। কিন্তু তার স্ত্রী নাহিদা পলাতক থাকায় তার আপিল হয়নি।