সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় পেট্রল বোমায় গুরুতর আহত অঞ্জন কুমার দেকে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ অফিস কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সঞ্চয়পত্রটি তার হাতে তুলে দেন কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে এ খবর জানায়।
পেট্রল বোমার আঘাতে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়েছেন অঞ্জন কুমার দে। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষটির দুই কিশোরী কন্যার লেখাপড়ার খরচ যোগানের উদ্দেশ্যে এই সঞ্চয়পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানায় প্রেস উইং।
দিনটি ছিল ২০১৫ সালের ৪ জুন। বড় মেয়ে স্কুলের পরীক্ষা দিতে যাবে বাবার সঙ্গে। আদরের কন্যার আবদার রাখতে রাঙ্গামাটি যাচ্ছিলেন অঞ্জন কুমার দে। পথে কুমিল্লার চান্দিনায় পেট্রল বোমার শিকার হন তিনি। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। ওই সময় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন অঞ্জন কুমার দে।
মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোসাইটি অফ প্লাস্টিক সার্জনস অফ বাংলাদেশের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেও ২০১৩-১৪ সালের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালের দিকে বিএনপি-জামায়াত মিলে আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, চলন্ত বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়া বা পেট্রল বোমা মারা, একটা গাড়িতে মানুষ যাচ্ছে, তাদের নামিয়ে তাদের গায়ে পেট্রল ঢেলে দিয়ে আগুন দিয়ে পোড়ানো- এই ধরনের জঘন্য কাজ তারা করে যাচ্ছিল। যারা পেট্রল বোমা মারে তারা মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে না।’
‘সেই আগুনে পুড়ে যারা মারা গেছেন, তারা তো মারা গেছেন; কিন্তু যারা বেঁচে আছেন তারা এখনও ভুগছেন। প্রতিনিয়ত তাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার কিন্তু শেষ নেই।’