২১ বছর আগে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্র সানাউল্লাহ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয়জন এবং যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া তিনজনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলার ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
তবে এরই মধ্যে দুই আসামি বিচারচলাকালীন মারা যাওয়ায় খালাস পাওয়া আসামি হলেন সাতজন।
ফাঁসি থেকে খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, একই এলাকার আতিকুল ইসলাম, সেলিম শেখ, নয়ন শেখ ও আনার হোসেন শেখ।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন থেকে খালাস পেয়েছেন আব্দুল মোতালেব ও শেখ শামসুদ্দিন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন ভূইয়া ও আমিনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।
আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রায়ে আদালত সব আসামিকেই খালাস দিয়েছেন। বিচারিক আদালত এ মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এ মামলায় কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিল না। কোনো স্বীকারোক্তিও নেই। শুধু অবস্থাগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিচারিক আদালত তাদের সাজা দিয়েছিল। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট তাদের খালাস দিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এরা কারাগারে কনডেম সেলে ছিলেন।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্ট সবাইকে খালাস দিয়েছে। অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট তথ্য ছিল না। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সানাউল্লাহ সরকারকে ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আসাদুজ্জামান কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
ওই মামলায় দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূইয়া আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। পাশাপাশি জেল আপিলও হয়।