নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের কেশবা গ্রাম থেকে রোববার বিকেলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব সাহা।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, ২১ মাস আগে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দরাকুটি নদীরপাড় গ্রামের ডায়না ইসলাম হাসির সঙ্গে কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের কেশবা গ্রামের সোহেল রানার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই রানার পরিবার যৌতুকের জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। রোববার ডায়নাকে তিনলাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে বলা হয়।
ডায়না এতে অসম্মতি জানালে তাকে বেধড়ক মারপিট করে উঠানে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে গৃহবধূর মামা, দাদা ও দাদি তাকে দেখতে গেলে তাদেরকেও তাড়িয়ে দেয়। পরে তাকে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতীত গৃহবধু ডায়না বলেন, ‘আমার বাবা বিয়ের পর ধারদেনা করে আমার স্বামীকে দুইলাখ টাকা ও আসবাবপত্র কিনে দেন। রোববার আবারও আমাকে তিনলাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে মারপিট করে মাটিতে ফেলে রাখে।
‘ডাক্তার বলেছে আমার ডানহাতের হাড় ফেঁটে গেছে ও মাথায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।’
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দোলা লিপটন বলেন, মেয়ের বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানা বলেন, ‘নির্যাতন নয় ধস্তাধস্তি হয়েছে। এটা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়ে থাকে। আমি কোনো যৌতুক চাইনি। মিথ্যে বলেছে। কেউ হয়তো সুবিধা নেয়ার জন্য এটি করছে।’ ওসি বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’