নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালে নারায়ণগঞ্জে নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
নগরীর চাষাঢ়া ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হরতালকারীরা যানবাহন বন্ধ করে জনসাধারণের সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
হরতালে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় সমাবেশ করে বাম জোট।
সমাবেশে বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি নিখিল দাস বলেন, ‘ভোজ্যতেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল ডাকে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সকাল পৌনে ৬টায় জোটের নেতা-কর্মীরা ২ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
‘এ সময় জোটের নেতা-কর্মীরা সড়কে চলাচল করা বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে দেয়। তখন পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করলে জোটের কয়েকজন সদস্য আহত হন।’
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশ বাধা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে। আমরা পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদ জানাই।’
জোটের আরেক নেতা গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ হরতালে আমরা মিছিল নিয়ে চাষাঢ়ায় ছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা আমাদের পিটিয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন ভোগ করে জনদাবির আন্দোলনে হামলা চালায় পুলিশ। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে পুলিশ তাদের দমাতে চায়।’