বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭২ টন সারের পুরোটাই ভেজাল

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২২ ১৩:৫০

টিএসপির উপপ্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। ল্যাব পরীক্ষায় সব সারই ভেজাল পাওয়া গেছে।’

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) গুদামে ঢুকতে না দেয়া ৭২ টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের পুরোটাই ভেজাল বলে ল্যাব পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান টিএসপির উপপ্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলাম এ বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। ল্যাব পরীক্ষায় সব সারই ভেজাল পাওয়া গেছে।’

টিএসপির উপপ্রধান হিসাবরক্ষক ও তদন্ত কমিটির সদস্য নির্মল কুমার দত্ত বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, যোগসাজশে আসল সার নামিয়ে ট্রাকে এই ভেজাল সার ওঠানো হয়েছে।’

টিএসপি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিসিআইসির যশোর গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম জানান, ১৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা টিএসপি সার কারখানা থেকে পাঠানো ছয়টি ট্রাকে করে ৮০ টন টিএসপি সার যশোর বাফার গুদামে পৌঁছায় ১৭ মার্চ। কিন্তু ওই সার দেখে সন্দেহ হলে পাঁচটি ট্রাকের সার খালাস বন্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে গুদাম কর্তৃপক্ষ।

এরপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই সার জব্দ করে ২১ মার্চ পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষাগারে। ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন-বিসিআইসি টিএসপির উপপ্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলামকে প্রধান করে গঠন করে তিন সদস্যের কমিটি। কমিটির অন্য দু’জন ছিলেন উপপ্রধান হিসাবরক্ষক নির্মল কুমার দত্ত ও ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) শফিকুল ইসলাম।

যশোর বাফার গোডাউনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে যে সার যশোর গোডাউনে নামানো হচ্ছে, সেগুলো আসল সার নয়। এখন যে সারগুলো আনা হয়েছে, সেগুলোর বস্তার সেলাই টিএসপির সেলাইয়ের মতো নয়। এ সারগুলো পথে পাল্টে নকল সার ভর্তি করে বস্তাগুলো পুনরায় সেলাই করে বাফার গোডাউনে সরবরাহের জন্য আনা হয়েছিল।

চলতি বোরো মৌসুমে এই বাফার গোডাউন থেকে যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ৪৬০ জন ডিলারের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে এই সার বিক্রির কথা ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর