সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ফুলেরা বেগম প্রথমে বলেন, ‘তিনি কোনো কার্ড বিতরণ করেননি। পরে একপর্যায়ে বলেন, আমার বাড়ির কাছে বাড়ি শিল্পী বেগমের, যে এসে জোর করছিল, তখন তাকে অন্যজনের একটি কার্ড দিতে বাধ্য হয়েছি।’
সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার সুযোগ পেতে ঘুষ দিয়ে হলেও কার্ড নিচ্ছেন অনেকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আসার পর, ঘুষ দিয়ে নেয়া কার্ডটি, ফেরত নিয়ে তা অন্য উপকারভোগীকে দেয়া হয়েছে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িটলা গ্রামের শিল্পী বেগম অভিযোগ করেন, তাকে টিসিবির কার্ড করে দেয়ার কথা বলে সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ফুলেরা বেগম ১ হাজার ৫০ টাকা নিয়েছিলেন। এরপর কার্ড দিয়েছিলেন, বুধবার সকালে আবার কার্ড নিয়ে গেছেন, টাকাও ফেরত দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন আরও অন্তত ৫ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ফুলেরা বেগম।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ফুলেরা বেগম প্রথমে বলেন, ‘তিনি কোনো কার্ড বিতরণ করেননি। পরে একপর্যায়ে বলেন, আমার বাড়ির কাছে বাড়ি শিল্পী বেগমের, যে এসে জোর করছিল, তখন তাকে অন্যজনের একটি কার্ড দিতে বাধ্য হয়েছি।
‘এমন ঝামেলা করছিল, যে আপনিও থাকলে বলতেন, একটি কার্ড দিয়ে বিদায় করো। তবে টাকা নেয়ার কথা তিনি অস্বীকার করে বলেন, যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা, তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেন।’
ফুলেরা বেগম বলেন, শিল্পী বেগমের কার্ড ফেরত নিয়ে, সাবানী নামে আরেকজন অসহায় নারীকে আজ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ ইসলাম রাজন বলেন, সরকারিভাবে ফ্যামিলি কার্ডের যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে, তা প্রতিটি ওয়ার্ড সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। উপকারভোগী নির্বাচনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে যার প্রয়োজন তিনিই যেন পান, তারপরও কিছু ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে তাৎক্ষণিক বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, ‘মেম্বারের বিরুদ্ধে যে টাকা নেয়ার অভিযোগের কথা বলছেন, সেটি আমার জানা নেই, আমি খোঁজখবর নেব। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’