যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর জানায়, মঙ্গলবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলাটি করেন। শিক্ষা বোর্ড অফিসের কম্পিউটার যন্ত্রাংশ কেনাকাটার নামে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে ১০ আসামির বিরুদ্ধে।
মামলার আসামিরা হলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেন, সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুল ইসলাম, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মনির হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন, কর্মকর্তা আ ফ ম আসাফুদৌলা, আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান, জাহানারা খাতুন ও শরিফ সালমা কহিনুর। আসামিরা সবাই ক্রয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
দুদক যশোরের উপপরিচালক আল আমিন জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তিনটি অর্থবছরে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার কেনা বাবদ বাজারমূল্যের অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা ব্যয় করার অভিযোগ আছে। দুদকের অনুসন্ধানে যা সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার ক্রয় বাবদ মোট ৩ কোটি ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৬ টাকা ব্যয় করা হয়। অনুসন্ধানকালে বাজারমূল্য যাচাই করে ১ কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রমাণ মিলেছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। তদন্তে জানা যায়, বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা।
চেক জালিয়াতির এ ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তখন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজাকে ওএসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।