বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়র জাহাঙ্গীরের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১৮:৫১

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তদন্ত কমিটি কাজ করছে, তাই এখন আমার কিছু বলা ঠিক হবে না। আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বহুবার তদন্ত হয়েছে, সে সময় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। এবারও নির্দোষ প্রমাণিত হব।’

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনাজপুর সার্কিট হাউসে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক-১ (যুগ্মসচিব) কামাল হোসেন এ তদন্ত পরিচালনা করেন।

২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলররা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর কাছে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।

দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান নওশাদ বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী বরাবর অভিযোগপত্র পাঠাই। আজ তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আমাদের প্রমাণ জমা দিয়েছি।’

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তদন্ত কমিটি কাজ করছে, তাই এখন আমার কিছু বলা ঠিক হবে না। আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বহুবার তদন্ত হয়েছে, সে সময় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। এবারও নির্দোষ প্রমাণিত হব।’

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক-১ (যুগ্মসচিব) কামাল হোসেন কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলররা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে যে অভিযোগ করেছেন সেখানে মেয়র জাহাঙ্গীরের বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চার বছরে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিপি) আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে প্রাপ্ত ৩ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকার কোনো টেন্ডার করেননি। পরে টাকা ফেরত চলে যায়।

বাজেটে বরাদ্দ না থাকলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫ লাখ টাকা গরিব, দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের মধ্যে বিধিবহির্ভূতভাবে বিতরণ করেন।

দায়িত্বে থাকার সময় ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১১ বছরে রাজস্ব ও এডিপি থেকে ১৫১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৪ টাকা আয় হয়। সে টাকা দিয়ে পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ও অন্য ব্যয় পরিশোধ করার পরেও উদ্বৃত্ত টাকা দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব। কিন্তু পৌর মেয়র কাউন্সিলরদের বলছেন, ফান্ডে কোনো টাকা নাই।

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশে সুইপার, সুইপার সুপারভাইজার, কেয়ারটেকার, মৌলভি, পুরোহিত ও ডোম ছাড়া চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগের সুযোগ না থাকলে বিভিন্ন বিভাগে ১৬২ জন অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন মেয়র।

এ ছাড়া প্রায় ১০০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীকে কোনো রকমের কাজ না করিয়েই বেতন দিয়েছেন।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের নিবন্ধন দিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আদায় করা হলেও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগে জানান কাউন্সিলররা।

২০২০ সালের নির্বাচনের দুই মাস আগে তিনি সরাসরি ১০ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক বালব টেন্ডার ছাড়াই কিনেছেন। পৌর ভবনের ফুলবাগানের জন্য আলোকসজ্জা করে ৪ লাখ ৫০ টাকার বিল করেছেন, যা বাস্তবসম্মত নয়।

জাহাঙ্গীর দায়িত্ব নেয়ার আগে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল ২ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫২ টাকা। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে ১৪ কোটি ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৫ টাকা।

পৌর মেয়র হিসেবে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের দায়িত্ব গ্রহণের সময় কোষাগারে প্রায় ১ কোটি টাকা জমা ছিল। কিন্তু এখন সেটি নেই।

দিনাজপুর পৌরসভার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ সরকারি অর্থের কোনো হদিস নেই। এর আগে দাতা সংস্থা প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার পরও মেয়র শর্ত পূরণ করতে না পারায় সেগুলো ফেরত চলে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর