বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার তিন বারের সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেছেন, আমার পূর্বে হবিগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির কোনো মেয়র নির্বাচিত হননি। আমি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে তিন বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। ভোট চুরি না হলে আমি সদরের এমপি ছিলাম। দল যখন যেভাবে চেয়েছে আমি সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করেছি। দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহে এবং অনুরোধে আমি হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী সফল করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গউছ বলেন, জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর। বিএনপি যারা করেন, যারা রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, শরীরের ঘাম ঝড়িয়েছেন, আন্দোলন করেছেন, তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কারা প্রার্থী হবেন, আর কাদেরকে তারা ভোট দিবেন। কিন্তু মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে বুঝতে হবে সামথিং ইজ রং। দুষ্ট লোকের দুষ্টামি কখনো বন্ধ হয় না। দুষ্ট লোকেরা ঘিয়ের মধ্যেও কাটা বাছতে শুরু করে। তাদের কাজই হচ্ছে ভালো কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা, তারা বিএনপির কউন্সিলকে নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, মিথ্যাচার করছে, তাদের বিষয়ে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। তারা মূলত আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের এমপিরা পালিয়েছে, সাথে শত শত কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এসব টাকা বিএনপির সামনের সারির নেতাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে খরচ করা হচ্ছে। এটা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাথায় থাকতে হবে।
জি কে গউছ বলেন, জোর জবরদস্তি করে মানুষের মন জয় করা যায় না। জোর করে মানুষের দোয়া, ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই জনগণ বিরক্ত হয় এমন কাজ যেন আমরা কেউ না করি। কারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমেই আমাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে।
পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়ালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন প্রমুখ।